ধনে, জিরা, এলাচ, দারুচিনি, সরিষা বীজ, মৌরি, মেথি, গোলমরিচ ইত্যাদির মিশ্রণ, যা ব্যক্তির স্বাদের উপর নির্ভর করে। এই মসলাগুলো সাধারণত ভাজা থাকে এবং স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে গরম মসলার বিভিন্ন উপকারী দিক সম্পর্কে জানানো হয়।
কোলেস্টেরল ও রক্তের শর্করার মাত্রা কমায়: মরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি ও এলাচ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য দারুচিনি বেশ উপকারী। কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। তাছাড়া ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ভালো স্মৃতিশক্তি পেতে এবং হৃদয় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিকারক উপাদান। ধনিয়াতেও আছে রক্তের কোলেস্টেরল ও রক্তের শর্করা কমানোর উপাদান।
প্রদাহ নাশক: জিরা গরম মসলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে আছে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। যা হজমে সাহায্য করে, হৃৎক্রিয়া ঠিক রাখে এবং বিপাক প্রক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। জিরা লৌহের ভালো উৎস এবং এটি কমে যাওয়া হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুনরায় ঠিক করতে সাহায্য করে।
দাঁতের জন্য ভালো: আয়ুর্বেদিকের মধ্যে লবঙ্গকে দাঁতের সব রোগের সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি দাঁত ব্যথা ও ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।
বলিরেখা কমায়: গরম মসলার নানা উপাদান যেমন দারুচিনি, গোল মরিচ ও জিরা বলিরেখা পড়ার গতি ধীর করে। এদের আছে ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্ষমতা। গোলমরিচ ক্ষুধা ও বিপাক ধীর করে ফলে ওজন হ্রাস পায় তাছাড়া মরিচ ত্বকের পক্ষেও বেশ ভালো।